1. admin@narijagrato.com : admin :
  2. emranhrony@outlook.com : News Editor : News Editor
রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ
"দৈনিক নারী জাগ্রত" পত্রিকাতে সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠিয়ে দিন ই-মেইলেঃ narijagrata@gmail.com অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন – 01998–712363 – 01799–919901
শিরোনামঃ

আজ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ভেড়ামারা ও মিরপুর মুক্ত দিবস

হৃদয় রায়হান, কুষ্টিয়া জেলা  প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৩৭ বার পঠিত

আজ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ভেড়ামারা ও মিরপুর মুক্ত দিবস। 

হৃদয় রায়হান, কুষ্টিয়া জেলা  প্রতিনিধি

(৮ ডিসেম্বর শুক্রবার ২০২৩) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ভেড়ামারা ও মিরপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার মুক্ত হয় এই তিন উপজেলা। দিনটি কুষ্টিয়ার মিরপুর, দৌলতপুর ও ভেড়ামারাবাসীর কাছে একটি স্মরণীয় দিন।

মিরপুর
এ দিনটি মিরপুর থানা পাক হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেয়। ৮ ডিসেম্বর ভোরে ই-৯ এর গ্রুপ কমান্ডার আফতাব উদ্দিন খান ১শ’ ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে মিরপুর থানায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা গান স্যালুটের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। এর পর ৬৫ জন পাকহানাদার বাহিনীর দোসর ও রাজাকার পাহাড়পুর মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে আত্মসমর্পন করলে মিরপুর হানাদার মুক্ত হয়।

ভেড়ামারা
ভেড়ামারা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানাকে শত্রুমুক্ত করেন। এই দিনে ৮নং সেক্টর কমান্ডার মেজর আবুল মুনছুরের নেতৃত্বে জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রশিদুল আলমের নেতৃত্বে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে ভোর ৭টার সময় ভেড়ামারা ফারাকপুরে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন বীর যোদ্ধারা। প্রায় সাত ঘণ্টাব্যাপী চলা এই যুদ্ধে আটজন পাক সেনা নিহত হয়। যুদ্ধের পর পরই মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে প্রায় ৫০/৬০ জন বিহারী নিহত হয়। এ সংবাদ পেয়ে ভেড়ামারায় অবস্থানরত পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। তারা সন্ধ্যার আগেই ভেড়ামারা থেকে হার্ডিঞ্জ ব্রীজ দিয়ে পালিয়ে গেলে ভেড়ামারা হানাদার মুক্ত হয়।

দৌলতপুর
১৯৭১ সালের এ দিনে হানাদার মুক্ত হয় দৌলতপুর। এদিন দৌলতপুরকে শত্রুমুক্ত করে থানা চত্বরে বিজয় পতাকা ওড়ানোর মধ্য দিয়ে মুক্তিকামী বীর সূর্য সন্তানেরা দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন। দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকসেনাদের সম্মুখ যুদ্ধসহ ছোট-বড় ১৬টি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এসকল যুদ্ধে ৩৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েক’শ নারী-পুরুষ শহীদ হন। সবচেয়ে বড় যুদ্ধ সংঘটিত হয় উপজেলার ধর্মদহ ব্যাংগাড়ী মাঠে। এ যুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৩’শ পাক সেনা নিহত হয়। শহীদ হন তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিনজন ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্য।

৮ ডিসেম্বর সকালে আল্লারদর্গায় পাক সেনারা দৌলতপুর ত্যাগ করার সময় তাদের গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা রফিক শহীদ হয়। এরপর দৌলতপুর হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মেজর নুরুন্নবী।

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরও খবর