বগুড়া ধুনুট উপজেলার ভান্ডার বাড়ি ছালেহা জহুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রসীদ স্কুলের সরকারি বরাদ্দকৃত পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে প্রায় চার লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে তার প্রমান পাওয়া গেছে ।গত ৫ ই মার্চ ২০২৪ ইং ঘটনা স্থলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় শিক্ষা মন্ত্রনালের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম এর আওতাভুক্ত এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কতৃর্ক বাস্তবায়নাধীন পারফরম্যান্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস স্কিম এর আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে নির্ধারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমহে স্কুল / মাদ্রাসা / কলেজ ব্যাবস্হাপনা জবাবদিহি অনুদান হিসাবে পাঁচ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্টান ভান্ডার বাড়ি ছালেহা জহুরা উচ্চ বিদ্যালের সরকারি বিধি মোতাবেক বিভিন্ন খাতে ব্যয় করার জন্য ব্যাংক একাউন্টে জমা করা হয়েছে ।উক্ত টাকা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রসীদ নির্ধারিত খাতে সঠিকভাবে ব্যায় না করে প্রায় চার লাখ টাকা আত্মসাত করেছে যাহা ভিডিও চিত্রে উঠে এসেছে । খাত সমূহ ক, শিক্ষকদের জন্য প্রনোদনা খ, লাইব্রেরী ও বইপত্র শিক্ষা উপকরণ গ, ছাত্রীদের জন্য বিশুদ্ধ পনি সরবরাহ ও কমনরুমের উন্নয়ন ঘ,সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা করন ঙ,প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নয়ন ।এদিকে পুরো স্কুলে তিন জন প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র এক জনকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এবং মেয়েদের কমনরুমে ভাংগা ব্রেন্চের গাদা করে রেখেছে ও বিশুদ্ধ পানির ব্যাবস্হা নেই এবং ছাত্রীদের বসার মতো তেমন কোনো ব্রেন্চই নাই । লাইব্রেরীতে সামান্য কিছু পুরাতন বই থাকলেও সেখানে জানালায় পর্দা হিসেবে রাখা হয়েছে ছেঁড়া পাটের বস্তুা এবং ছেঁড়া বেতের পাটি । ও ওয়াল এবং মেঝের প্লাষ্টার উঠানো । এবং সুবিধা বঞ্চিত ছাত্র ছাত্রীদের অনুদান নিয়েও করা হয়েছে স্বজনপ্রীতি তাও আবার হাতে গোনা কয়েকজনকে । অন্য দিকে টয়লেট বাথরুমের উন্নয়নের নামে কিছুই করা হয়নি উপরে জানালায় গ্লাস না দিয়ে ফাঁকা রাখা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির ব্যাবস্হা নাই ।এছাড়াও উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রসীদ এর বিরুদ্ধে রয়েছে পঞ্চাশ লাখ টাকার শিক্ষক কর্মচারি নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ এবং বারো বস্তুা সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ । এছাড়াও সিদ্দিকুর রসীদ অবৈধ টাকা ইনকাম করে ধুনুট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের উত্তর পাশে আট শতক জমির উপর গড়েছে বিলাসবহুল চার তলা ভবন যাহা দুই তলা কমপ্লিট এবং সোনালী ও অগ্রনী ব্যাংকে রয়েছে তার বিশ লাখ টাকার এফডিআর । এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলো । এদিকে শিক্ষক সিদ্দিকুর রসীদ বলেন কাজ ঠিক মতোই করা হয়েছে আপনার যা মনচায় করেন ।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একরামুল হক বলেন আপনি সঠিকটা ধরেন আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। স্কুলের সভাপতি ডাঃ শরিফুর রসীদ বলেন বিষয় টি আমার জানা নাই তবে আমি হেড মাষ্টার এর সাথে কথা বলে ব্যাবস্হা নিচ্ছি । এদিকে এলাকার সচেতন মহল এসব অন্যায় এর বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান ।