নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নবীগঞ্জ উপজেলার ১২ নং রেসপনডেন্ট বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন সেলিম এর বিরুদ্ধে বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দিদার আহমদ গত ১২ মার্চ ২০২৪ ইং নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নবীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর দুটি অভিযোগের দরখাস্ত সংযুক্ত করিয়া, মহামান্য হাইকোর্টে জাস্টিস নাইমা হায়দার এবং জাস্টিস কাজী জিন্নাত হক স্যারের আদালতে হাজির হয়ে একটি রিড পিটিশন দায়ের করেন । সেই রিড পিটিশন এর আলোকে মহামান্য হাইকোর্ট আদেশ করেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নবীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও সিলেট শিক্ষা বোর্ড কে নির্দেশ দেন, দুই মাসের মধ্যে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে করার। অথচ আজ চার মাস অতিবাহিত হলেও হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক, নবীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিলেট শিক্ষা বোর্ড সহ সব দপ্তরের রিড পিটিশন কপি রিসিভ করার পরও মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অবমাননা করে এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । এদিকে নবীগঞ্জ উপজেলার সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল সর্বনিম্ন এবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে থাকা চার জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে সুনামগঞ্জ জেলা। সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে হবিগঞ্জ জেলা, সুনামগঞ্জ জেলায় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৪১% পাসের হারে এগিয়ে থাকলেও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে সবচেয়ে পিছিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা, সুনামগঞ্জে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ৬৪৫ জন, হবিগঞ্জ জেলায় পাসের হার ৭২ দশমিক শূন্য ৫% এদিকে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে রয়েছে সিলেট জেলা । সিলেটে জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫৭৭ জন, যদিও গত বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬১৯ জন, সিলেট জেলায় পাসের হার ৭৪.০৪% পাসের হারেও তৃতীয় স্থানে রয়েছে মৌলভীবাজার জেলা। জেলায় পাসের হার ৭২ দশমিক ১৭% মৌলভীবাজারে জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩১৩ জন, হবিগঞ্জ জেলায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা ৯৩৬ জন, এর মধ্যে তথ্য সূত্রে জানা যায় নবীগঞ্জ উপজেলার সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন ফলাফল নবীগঞ্জ উপজেলার বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের।তথ্য সূত্রে জানা যায় উক্ত বিদ্যালয়ের একই পরিবারের আপন দুই ভাই বোন চাকুরীরত রয়েছেন গত ১৫ নভেম্বর ২১ ইং মাহিন্দ্র সরকার বড় ভাই পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসাবে যোগদান করেন, এবং আপন ছোট বোন ০১ জুন ২২ ইং হেপী রাণী সরকার অফিস সহায়ক হিসাবে যোগদান করেন। ভিন্ন ইউনিয়নের একই পরিবারের দুই ভাই বোন চাকুরীরত রয়েছেন এ বিষয়ে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দিদার আহমদ হেপী রাণী কে চাকরি না দিতে বলেন, কারন বাগাউড়া গ্রামের শিক্ষিত অসহায় মেয়েদের চাকরির অনেক আবেদন বিদ্যালয়ে জমা রয়েছে, কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসীম উদ্দীন সেলিম ওনার অনুরোধ মূল্যায়ন না করে ব্যাক্তিগত বিশেষ কারনে হেপী রাণী সরকার কে চাকরি দেন, এ বিষয়ে বাগাউড়া গ্রামের শিক্ষা অনুরাগী ফজলু মিয়া গত ২৬ মে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর, নবীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর ও বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। বর্তমানে এলাকার বেকার যুব ও যুবতীদের মধ্যে বেপক আলোচনার ঝড় ।এনিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী সচেতন মহল ও অভিবাবকরা সহ এলাকার জনসাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে,উক্ত বিষয় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিয়মিত বেশ কয়েকটি ফেইসবুক আইডিতে লেখালেখি হচ্ছে, এ নিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ও এলাকার অভিভাবকরা সহ জন_সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রকম আলোচনার ঝড় বইছে, সবাই জানতে চাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসীম উদ্দীন সেলিমের কুটির জোর কোথায় । বিদ্যালয়ের বর্তমান নতুন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দুলাল (মেম্বার) গত ২৩ মে রোজ বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ম্যানেজিং কমিটির মিটিং এ সাংবাদিকদের সাক্ষাতে বলেন আগামী ০২ জুন রবিবার জনসম্মুখে আমরা দীর্ঘ চার বছর পর জেনারেল মিটিং এর আয়োজন করব, এদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক শিক্ষা অনুরাগী সহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ জন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসীম উদ্দীন সেলিম দীর্ঘদিন দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ অবৈধ ভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকায় ওনার বহিষ্কার সহ নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জোরালো দাবি করেন।