অর্থের ওভাবে পড়ালেখা বন্ধ হতে বসেছে,মেধাবী শিক্ষার্থী ইসরাতের।নওগাঁ মান্দার চকশৈল্যা (বিষ্ণুপুর) গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করেন এনতাজুল ইসলাম।তার স্ত্রী ও দুই সন্তান সহ চারজনের সংসার। দীর্ঘদিন প্যারালাইসিস পঙ্গু ব্যক্তি একমাত্র উপার্জন কারী। বড় ছেলে দীর্ঘদিন হলো কোথায় জানা নাই তাদের, এজন্য মা বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে পরিবার সহ অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার পাশাপাশি সংসার চালিয়ে ও প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে সহযোগিতায় মেধাবী ইসরাতের জাহান এ্যানি র পড়াশোনা চালিয়ে আসছিল।এ্যানি চকশৈল্যা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ২০২৩সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বাড়ির পাশে কোন কলেজ না থাকায় জোতবাজার মহিলা কলেজে ভর্তি হয়।বাড়ি থেকে কলেজ যাতায়াতের জন্য প্রত্যেক দিন ৫০টাকা ভাড়া প্রয়োজন যা এ্যানির পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।কেননা যার পরিবারের খরচ যোগাতে অপরের কাছে হাত পেতে নিতে হয়, বাবার ওষুধ কিনতে না পারায় নিয়মিতভাবে ওষুধ খেতে পারে না, সেখানে ভাড়া দিয়ে কলেজ করা বিলাসিতার মতো তার কাছে মনে হয়। নিয়মিত কলেজ করতে না পারায় পিছিয়ে পড়ছে। মা রওশন আরা জানান,আমার স্বামীর অনেক স্বপ্ন এ্যানিকে নিয়ে কিন্তু অসুস্হতার জন্য কিছু করতে না পারার যন্ত্রণা প্রতিনিয়ত তাকে শেষ করছে,অনেক বিয়ে এসেছে তার, মেয়ের কথা আমাকে তোমরা বিয়ে না দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে দাও।তাই নিরুপায় হয়ে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে চেষ্টা করছিলাম,কিন্তু আর মনে হয় পারবোনা।তাই কেউ যদি একটু সহযোগিতা করতো তা হলে মেয়ে টার স্বপ্ন পূরন করতে পারতাম।কেননা এখন প্রাইভেট, খাতা,কলম সহ বিভিন্ন রকমের খরচ যা বহন করা সম্ভব নয়।
বাড়িভিটাটা ছাড়া কিছুই নাই। আত্মীয়-স্বজনের কাছে চাওয়ার মত আমার আর কোন মুখ নেই। তাই কেউ যদি আমার মেয়ের জন্য একটু সহযোগিতা করতো তাহলে আমার মেয়েটা লেখাপড়া করতে পারতো। চকশৈল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, মেয়েটা অত্যন্ত মেধাবী কিন্তু কোনরকম সহযোগিতা না থাকাই সুন্দর ফুল ঝরে পড়তে বসেছে। প্রতিবন্ধী বাবা তার মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে আজও বেঁচে আছে। আমার প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সময় আমি সহ প্রতিষ্ঠানের সকলে সহযোগিতা করেছি।এ্যানি জিপিএ ৫ পেয়ে পাশ করেছে। জোতবাজার মহিলা কলেজে ভর্তির কথা শুনেছি।আমি তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।