Warning: Creating default object from empty value in /home/ifaz/narijagrato.com/wp-content/themes/Newsparfect/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
হাসি নেই কৃষকের মুখে রংপুরের পীরগাছায় হাসি নেই কৃষকের মুখে রংপুরের পীরগাছায় – নারী জাগ্রত
  1. admin@narijagrato.com : admin :
  2. emranhrony@outlook.com : News Editor : News Editor
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ
"দৈনিক নারী জাগ্রত" পত্রিকাতে সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠিয়ে দিন ই-মেইলেঃ narijagrata@gmail.com অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন – 01998–712363 – 01799–919901
শিরোনামঃ

হাসি নেই কৃষকের মুখে রংপুরের পীরগাছায়

শিল্পী আক্তার, রংপুর জেলা প্রতিনিধি 
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৪০ বার পঠিত

হাসি নেই কৃষকের মুখে রংপুরের পীরগাছায়।

শিল্পী আক্তার, রংপুর জেলা প্রতিনিধি 

রংপুরের পীরগাছায় ৪ নং অন্নদানগর ইউনিয়নের, আমন ধান ঘরে তোলার উৎসব চলছে, কিন্তু হাসি নেই কৃষকের মুখে,চলতি মৌসুমজুড়েই ছিলো খড়া আর অনাবৃষ্টি,।।

প্রথম দিক থেকেই বৃষ্টি না হওয়ায় স্যালো মেশিনে পানি তুলে জমি প্রস্তত করতে হয় কৃষকদের। ধান লাগানোর পর খড়া বেশী হওয়াতে নিয়মিত সেচ দিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হয়েছে এবার ।।

এছাড়াও উচ্চ মূল্যের সার, কীটনাশক খরচ, জমি চাষ খরচ, শ্রমিক, মাড়াই খরচ অধিক হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছে কৃষকেরা, সেই সাথে ধান পাকার সময়ে অধিকাংশ ক্ষেতে কারেন্ট পোকা আক্রমণে দিশেহারা করে ফেলেছে। ।

শেষমেশ ধান ওঠার পরেও হতাশায় ভুগছে কৃষক, যার অন্যতম কারন হচ্ছে উৎপাদন খরচ ও বাজার দরের বিরাট পার্থক্য। ২০১০ সাল থেকে এখন অবধি ধানের একই মূল্য। এবার ধান বিক্রির টাকায় সার-বীজ-কীটনাশকের দোকানের দেনাও শোধ হবে না। এভাবে লোকশানের কারণে কৃষি কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই।।

এ বিষয়ে এক কৃষকে জিজ্ঞাসা করলে, গণমাধ্যমকে জানান মোহাম্মদ ইউনুস আলী মন্ডল তিনি বলেন,দফায় দফায় সার, ডিজেল, কিটনাশক, শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বর্তমানে চাষে লোকসান হচ্ছে।।

ধানের দাম ১০ বছর পূর্বে যা ছিলো বর্তমানেও একই আছে।এই ১০-১২ বছরে অনেক কিছুর মূল্য বাড়লেও বাড়েনি ধানের মূল্য। ফলে প্রকৃত চাষীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে আবাদে ।।

ধান লাগানো থেকে শুরু করে ধান বাড়ি আনা পর্যন্ত বর্তমানে, সেচ পাম্প, জমি চাষ, সার , আগাছা দমন,কাটা, বাধা,পরিবহন, মাড়াই, লেবার দিয়ে বিঘা প্রতি ১৯ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।।

এবার আমন মৌসুমে খরা ও অনাবৃষ্টির কারনে জমিতে খুব ভালো ধান হলেও বিঘাতে ১০ থেকে ১২ মন ফলন হচ্ছে। যার ফলে বিঘাতে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষীদের।।

আবার এমন কিছু নিচু এলাকা আছে যেখানে ধান ছাড়া কিছুই হয়না। সব মিলায়ে কৃষকরা আজ চরম দূরদিন অতিবাহিত করছে।।

ঋনের সুদ,সারের দোকানে বাকী, সেচ পাম্পের টাকা নিয়ে হতাশায় দিন কাটছে। সময় বহমান হলেও কৃষকদের প্রতীক্ষার অবসান ঘটছে না।।

কৃষকের মনে আজ বিষাদের সুর, ভাগ্য নামের প্রাচীর ভেঙে কে দেখাবে কৃষকদের, সোনালী দিনের স্বপ্ন? কারন কৃষক বাচলে দেশ বাঁচবে।

কৃষক শুধু নিজের জন্য নয় দেশের সকলের জন্য পরিশ্রম করে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরও খবর