ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এমন খবর গণমাধ্যমে আসতে না আসতেই হবিগঞ্জের বাজারে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গতকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেওয়া এক আদেশে রপ্তানি বন্ধের খবর জানায় ভারত। তবে এই সিদ্ধান্ত আসার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এক লাফে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। শনিবার (০৯ ডিসেম্বর ) হবিগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে দেখা যায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির খবর জানা গেছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার সকালেই হবিগঞ্জের বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজি পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। তবে সন্ধ্যার পরই পাল্টে যায় পেঁয়াজের বাজারের দৃশ্যপট। বর্তমানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা কেজি করে।
মূলত দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরে অর্থাৎ ২০২৪ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করছে ভারত সরকার।
খবর সন্ধ্যার মধ্যেই পৌঁছে যায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের কানে। এরপরই নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা খবর পেয়ে হবিগঞ্জ চৌধুরী বাজার পেঁয়াজ কিনতে আসা জব্বার মিয়া নামে এক ব্যাক্তি জানান, সন্ধ্যার দিকেই দেখেছি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে সেই সংবাদ শুনে তাৎক্ষণিক বাজারে আসি ।
আমি বাজারে আসার আগেই দেখী পেঁয়াজ দাম বেড়ে গেছে।
শায়েস্তাগঞ্জ দাউদ নগর কাঁচা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা দিন মজুর মো রফিক মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন স্যার আমাগো মতো লোকের আর পেঁয়াজ কিনে খাইতে পারবো না
আব্দুল কাইয়ুম বলেন ভারতীয় পেঁয়াজ দুইদিন আগেও ১০০ টাকা কেজি কিনেছি, আজ কিনতে হয়েছে ১৮০ টাকা করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর ব্যাপারে খুবই ফরাদর্শী।
কোন একটা ঘোষণা আসার আগেই অটোমেটিক দাম বেড়ে যায়। ভারত আজ ঘোষণা দিয়েছে, তাই বলে আজই দাম বাড়িয়ে ফেলতে হবে?
উল্লেখ্য শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেওয়া এক আদেশে, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। মূলত দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নেয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) জানায়, পেঁয়াজের রপ্তানি নীতি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে।