1. admin@narijagrato.com : admin :
  2. emranhrony@outlook.com : News Editor : News Editor
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ
"দৈনিক নারী জাগ্রত" পত্রিকাতে সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠিয়ে দিন ই-মেইলেঃ narijagrata@gmail.com অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন – 01998–712363 – 01799–919901
শিরোনামঃ

নিয়মের ভিড়ে হারানো কিছু স্বপ্ন 

দৈনিক নারী জাগ্রত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২৩৮ বার পঠিত

নিয়মের ভিড়ে হারানো কিছু স্বপ্ন। 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ★দৈনিক নারী জাগ্রত★

শত স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম আমি এই শহরের বুকে।কখনো ভাবিনি সেই স্বপ্নগুলো মাঝপথে আমাকে নিঃসঙ্গময় করে চলে যাবে। প্রতিদিনের ক্লান্তি, হতাশা, না পাওয়ার আক্ষেপ আমাকে একটু একটু করে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। নিয়মের ভিড়ে আমি শিখেছি বন্ধুবিহীন ও জীবন কাটানো যায়। হয়তো নিয়মগুলো এমন না হয়ে অন্যরকম হতে পারতো। কোন এক সময়ে এই মন জুড়ে ছিলো হাজার স্বপ্নের আনাগোনা। সেদিন আমি একাকিত্ব, হতাশা ক্লান্তি না পাওয়ার আক্ষেপ এসবের মাঝে হারিয়ে যাইনি বরং সেদিন আমি ছিলাম স্বপ্নময়ী কোন এক পথচারী।
স্বপ্নের দিনগুলো শুরু হয় এস এস সি রেজাল্টের পরবর্তী দিনগুলো থেকে, যখন জিপিএ – ৫ পেয়েছিলাম। তখন চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী আমার বাবা – মা স্বপ্ন দেখতো শহরের কোনো এক ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়াবে। আল্লাহ তায়লার অশেষ রহমতে আমি আমাদের শহরের সেরা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার সুযোগ পাই। শত স্বপ্নকে সঙ্গবদ্ধ করে আমি গ্রাম থেকে শহরে আসি। তখনও বাস্তবতা সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিলো না, হোস্টেল জীবনের প্রথম দিন থেকে আমি বুঝতে শিখি,পৃথিবীটাকে যতটা রঙিন ভাবি ঠিক ততটাও রঙিন নয়। নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী পৃথিবীর বুকে জায়গা করে নিতে হয়।
হোস্টেল জীনের প্রথম কয়েকটা দিন ভালো কাটলেও পরর্বতীতে আমি বুঝতে শিখেছি বাবা- মা ছাড়া কেউ পৃথিবীতে আপন নয়।আমাদের জীবনে কেউ চিরদিন স্হায়ী ভাবে থাকার জন্য আসে না। নিয়মের ভিড়ে একসময় সবাই হারিয়ে যায়।স্কুল জীবনের সেই বন্ধুগুলোকে হারানোর বেদনা আমাকে একটু একটু করে কুড়ে খাচ্ছিলো। তখন মনকে শান্তনা দিতাম কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয়।
সময়টা ছিলো ২০২৩ এর মাঝামাঝি, আমি পুরোপুরি বন্ধুহীন হয়ে পড়ি। সবথেকে কাছের মানুষগুলোকে হারিয়ে ফেলি। যে উজ্জ্বলময় ভবিষ্যৎ  এর স্বপ্ন দেখেছিলাম সেটা কোনো একটা জায়গা থেকে থমকে দাড়ায়। আমার প্রতিটি দিন প্রতিটি রাত কাটতে লাগে  মৃত্যু যন্ত্রনার মতো। তবুও আমি হার মেনে নেইনি। বাবা – মায়ের থেকে দূরে থাকায় কিছুটা পড়ালেখায় ঘাটতি পরে যায়। কলেজে নিজের অবস্থান দেখে আমি হতাশ হয়ে পরি। তবুও আমি হাল ছাড়িনি। প্রতিটি দিন প্রতিটি ক্ষনে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের একটা জায়গা করে নেওয়ার জন্য। আর বাবা- মায়ের স্বপ্নগুলোকে পূরন করার জন্য।
নিজেকে এটা বুঝাতে শিখেছি  বন্ধুহীনও জীবন কাটানো যায়। একাকিত্বের মাঝেও নিবির শান্তি রয়েছে। এভাবেই  আমি একদিন আমার স্বপ্নগুলো পূরন করবো। আর নিয়মের ভিড়ে হারানো স্বপ্নগুলোকে একদিন উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।
সাথী
দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী, বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরও খবর