নবীগঞ্জ উপজেলার বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
আব্দুল কাইয়ুম,নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি
নবীগঞ্জ উপজেলার বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান গত ২০২১ ইংরেজীতে মোঃ পেয়ার আলী প্রধান শিক্ষক মৃত্যুবরণ করেন এরপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োজিত হন আবুল কাশেম স্যার তিনি তিন মাস দায়িত্ব পালন করেন, এরপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পান জসিম উদ্দিন সেলিম,আজঅবদ্যি তিনি বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করে আসছেন বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তিনি মনগড়া মতো দায়িত্ব পালন করছেন পাশাপাশি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ শিক্ষানুরাগী মানুষের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করে থাকেন বিদ্যালয়ের কোন আয় ব্যয়ের হিসাব নেই বিদ্যালয়ে প্রবাসীরা অনেক অনুদানের টাকা দিয়ে থাকেন এই টাকার কোন হিসাব নেই।দাতা সদস্য নেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে তিনি মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকেন বলে জানা যায় বিদ্যালয়ের সব টাকা ব্যাংকে রাখার নিয়ম থাকলেও তিনি নিজের পকেটে টাকা রেখে খরচ করেন বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সমঝোতা করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্ণীতি করে আসছেন দেখার যেন কেউ নেই এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা কর্মকর্তা বরাবরে অনেকেই দরখাস্ত দিয়েছেন বলে জানা যায় । উক্ত বিষয়ে এখনও তদন্ত করা হয় নাই বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন দাতা সদস্য মুহিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন আমি প্রায়ই বিদ্যালয়ের উন্নয়ন সহ নানা বৈঠকে উপস্থিত থাকি আমি গত ৩১ ডিসেম্বর ২৩ ইং রোজ বুধবার বিদ্যালয় অফিস কক্ষে যাইয়া দাতা সদস্যের লিষ্ট দেখানো সহ প্রবাসীরা বিদ্যালয়ের টাকা দেওয়ার হিসাব চাহিলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন সেলিম আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং মারমুখী আচরন করেন । বিদ্যালয় অফিস থেকে দপ্তর সহ লোকজনকে ডাকাডাকি করিতে থাকে, আমি প্রতিবাদ করিলে প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন সেলিম আমাকে ধাক্ষা মারিয়া অফিস হইতে বাহির করিয়া দেওয়ার জন্য ডাক চিৎকার করেন এবং চিৎকার করিয়া বলেন আমি যদি কোন দিন বিদ্যালয়ের দাতা সদস্যের লিষ্ট বা বিদ্যালয়ের হিসাব চাই আমাকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করিতে দিবেনা এবং বিদ্যালয়ে আসিলে আমাকে মারপিঠ করিবে বলিয়া হুমকী প্রদান করেন।এ বিষয়ে আমি ওনার হুমকীতে ভয় পাইয়া গত ২ ফেব্রুয়ারি ২৪ ইং নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করি উক্ত অভিযোগ তদন্ত অফিসার এ এস আই, তৌহিদ বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।