1. admin@narijagrato.com : admin :
  2. emranhrony@outlook.com : News Editor : News Editor
শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ
"দৈনিক নারী জাগ্রত" পত্রিকাতে সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠিয়ে দিন ই-মেইলেঃ narijagrata@gmail.com অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন – 01998–712363 – 01799–919901
শিরোনামঃ

অবরোধে রাস্তায় জীবনের ঝুঁকি-পুলিশের চাঁদাবাজি

মোঃ আজিজুর রহমান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৩০ বার পঠিত

অবরোধে রাস্তায় জীবনের ঝুঁকি-পুলিশের চাঁদাবাজি

মোঃ আজিজুর রহমান,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় বেরহয়েছি জয়পুরহাট থেকে সিলেট পূণ্য বোঝাই ট্রাকে অন্তত ২৫ টি পয়েন্টে পুলিশকে বখরা (চাঁদা) দিতে হয় বলে দাবি করেছেন ট্রাকচালক জামাল মিয়া

বুধবার (৮ নভেম্বর ) ১২ টার সময় কথা হয় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে ট্রাকচালক জামাল মিয়ার সঙ্গে ২য় অবরোধের আগের দিন রাতে পূণ্য বোঝাই করে রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায় সিলেটের উদ্দেশ্য যাত্রার শুরু করে মঙ্গলবার ভোররাতে সিলেট পৌছান জামাল মিয়া রাতেই আনলোড করে সকালে সিলেট থেকে রওয়ানা দেন ।

অবরোধ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেটের দায়ে বেরহলাম। জানি রাস্তায় নিরাপত্তা নেই অবস্থা বুঝে গাড়ি চালাতে হয় কি করবো পেটেতো বুঝে না । চালক আরও বলেন এভাবে চলা যায় না সরকার ও বিরোধী দল বসে সমস্যার সমাধান করেনা কেন? মালিক নিষেধ করেছে গাড়ি না চালাইত ।

রাস্তা ঘাটে চাঁদাবাজি করছে পুলিশ ট্রাকচাল বলেন, হরতাল-অবরোধে পেট্রোল বোমায় প্রায়ই চালক ও হেল্পারদের জীবন দিতে হয়। কিন্তু পরিবারের কথা চিন্তা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রুটি-রুজির সন্ধানে রাস্তায় বের হচ্ছি।
রাস্তায় পুলিশ পাহারায় আতঙ্ক কমলেও মোড়ে মোড়ে রয়েছে পুলিশের উৎপাত গাড়ি থামিয়ে চেকিংয়ের নামে করে হয়রানি।

হয়রানি থেকে বাঁচতে দিতে হয় ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা চাঁদা।

জয়পুর হাট থেকে ছাউল বোঝাই ট্রাক নিয়ে আসা চালক জামাল বলেন, হরতাল-অবরোধের রাস্তায় পুলিশের পাহারা বাড়ানো হয়েছে। এতে পেট্রোল বোমা হামলা কমেছে। কিন্তু পুলিশের চাঁদাবাজি বেড়েছে।

জয়পুর হাট থেকে সিলেট আসতে অন্তত ১০ থেকে ১৫টি পয়েন্টে পুলিশকে ৫০০ বা ১০০০টাকা এবং সাধারণ পোশাকে লাঠি হাতে পাহারায় থাকা ‘আনসার’দের ৫০টাকা করে চাঁদা দিতে হয়েছে। । আবার কোথাও বড় কর্মকর্তারা ধরলে ১৫০০ টাকাও দিতে হয়।

তিনি বলেন, আগেও চাঁদাবাজি হত। তবে এখন পুলিশের পাহারা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদাবাজিও বেড়েছে। বলতে গেলে পুলিশের জ্বালায় গাড়ি চালানো যায় না

পাশে হেলপার জসিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন পুলিশ রাস্তায় খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দেখে। বিভিন্ন পয়েন্টে চেকের নামে বাঁধন খুলে ফেলে। পুলিশ বলে ছাউলের নামে ইয়াবা নিয়ে যাচ্ছিস’ এ ধরনের নানা কথা বলে চাঁদা দাবি করে।

ট্রাকচালক জামাল বলেন,সাধারণত ছাউল বোঝাই একটি গাড়ি আনতে আমরা ভাড়া নেই ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। এখন হরতাল-অবরোধের কারণে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা বেশি নিচ্ছি। তবে, এ টাকার একটি অংশ পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরও খবর